একদা এক রাজার রাজা
করতো রাজ্য শাসন,
অসুখ হয়ে রইল পড়ে
শূন্য রাজার আসন।
উজির, নাজির পাত্র কোটাল
সবাই হলো রাজি,
মহারাজের অসুখ সারবে
না হয় শহীদ -গাজি।
পেটে সেক দিল তারে
মাথায় বরফ পাথার,
হাকিম, কবিরাজ সবই ব্যর্থ
ডাক্তার করলো সাবার।
থর থরে কাঁপে রাজা
বিনা বায়ে দুলে কেশ,
হাতি ঘোড়া নাহি চড়ে-
এলো এক দরবেশ।
দরবেশ বলে, মুখে হাসি সর্ব দোলে
দুলে লম্বা মাথার কেশ,
এইরূপ লোকের আনতে হবে
সুখের পরান বেশ।
তোশক এনে দিতে হবে
তার উপর শয়ন করে,
অসুখ সেরে যাবে যদি
এক রজনী যাবে গড়ে।
শহর গ্রামে উজির নাজির
সবাই করলো খুঁজা-খুঁজি,
পরিশেষে ব্যর্থ হয়ে
ফিরবে বাড়ি সোজা সোজি।
এমন সময় নদীর ধারে
নেহারে এক লোক,
মাথায় বাবরি,ভাঙগা গালে
হাড়ে ভরা বুক।
লোকটা শুধু হাসি ফুটায়
হা: হা: হা:
উজির নাজির কোটাল বলে
বা: বা: বা: ।
জিজ্ঞাস করলো এই যে সুখি ভাই,
একটু দিবে তোমার জামা,
যা চাও মাইনে তুমি
নাহি করবো মানা।
লোকটা বলে জামা –টামা
নাই আমার ভাই,
উজির বলে দিবে তোমার
তোশক খানা তাই।
লোকটা বলে তোশক আবার
বিচানাই নাই,
রোজগারে যখন যা পাই
তাহাই আমি খাই।
সুখি মানুষ পাওয়া গেলো কিন্তু
সুখি মানুষের জামা পাওয়া গেলোনা,
তাই রাজার অসুখ বেড়ে গেলো
সারানো যাবে না।
মো: হারুন অর রশিদ
No comments:
Post a Comment