click here

get free $100

cool

just one click $50

click here

income button

hellow button

$300

Showing posts with label story. Show all posts
Showing posts with label story. Show all posts

Friday, February 23, 2024

ইসলামে মাতৃভাষার মর্যাদা অপরিসীম

February 23, 2024 0

 

ইসলামে মাতৃভাষার মর্যাদা অপরিসীম

 

ইসলামে মাতৃভাষার মর্যাদা অপরিসীম

প্রতীকী ছবি

ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার জন্য আত্মত্যাগের মাস। সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত প্রমুখ ছাত্র-জনতা এদিন মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। অর্জন করেছিলেন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার। 

মহান আল্লাহ মানবজাতিকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আল্লাহতায়ালার দরবারে বান্দা ইহ জগৎ ও আখিরাতের মঙ্গলের জন্য যে প্রার্থনা করবে তা হওয়া উচিত তার মাতৃভাষায়। কারণ মাতৃভাষায় মানুষ যে আবেগ-অনুভব প্রকাশ করে তা অন্য কোনো ভাষায় সম্ভব নয়। 

মানুষকে আল্লাহতায়ালা তার মনের ভাব প্রকাশের জন্য ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন। মাতৃভাষা তার আবেগ প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। দুনিয়ায় প্রায় ৫ হাজারের মতো ভাষা রয়েছে। ভাষার বৈচিত্র্য আল্লাহতায়ালার কুদরতের নিদর্শন।

পবিত্র কোরআনের সুরা রুমের ২২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর আরও একটি নিদর্শন হচ্ছে আকাশম-লী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শন।’ 

সুরা আর-রাহমানের এক থেকে চার নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘দয়াময় আল্লাহতায়ালা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন। সৃষ্টি করেছেন মানুষ। শিক্ষা দিয়েছেন ভাষা বর্ণনার কলাকৌশল।’ 

সুরা ইব্রাহিমের চার নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি প্রত্যেক রসুলকে তাঁর নিজ জাতির ভাষায় পাঠিয়েছি, যাতে তাদের আল্লাহতায়ালার বিধানসমূহ সুস্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে পারেন।’ 

প্রত্যেক নবী-রসুল তাঁর মায়ের ভাষায় তাঁর জাতির কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছেন। মায়ের ভাষার মাধ্যমেই মানুষকে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। 

আল্লাহতায়ালা হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ করে সুরা দুখানের ৫৮ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘আমি তো কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে নাজিল করেছি, যাতে তারা সহজে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।’ 

পবিত্র কোরআনের সুরা আশ-শুরার ৭ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘এমনিভাবে আমি আপনার প্রতি আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল করেছি। যাতে আপনি মক্কা ও তার আশপাশের লোকদের হাশরের দিন সম্পর্কে সতর্ক করেন।’ 

ভাষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আল্লাহপাক সুরা ইউসুফের ২ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন, ‘আমি কোরআনকে আরবি ভাষায় নাজিল করেছি, যাতে তোমরা সহজে বুঝতে পার।’ 

সুরা মারইয়ামের ৯৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি অতি সহজে মুত্তাকিদের সুসংবাদ দেন আর কলহকারীদের সতর্ক করেন।’ 

মহাগ্রন্থ আল কোরআনের মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি, ইসলামী আদর্শ যেমন সর্বজনীন, তেমনিভাবে ভাষা-বর্ণও সর্বজনীন। আল্লাহ আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার তৌফিক দান করুন। আমিন।
                        


Monday, June 26, 2023

গল্পের নাম: দুরত্বে ফিরে আসা

June 26, 2023 0

 

রচনায় : মো: হারুন অর রশিদ



 

 বন্ধুত্ব এমন একটি সম্পদ যা আমাদের জীবনে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে।  এটি একে অপরের উপর  গভীর প্রভাব ফেলতে পারে এটি আমাদের আত্মাকে উন্নত করে এবং আমাদের ব্যক্তিগত বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। বন্ধুত্ব গড়ে তোলা এবং লালন করা একটি পরিপূর্ণ জীবনের একটি অপরিহার্য দিক। রিমন এবং রিহান নামে দুই বন্ধু একই গ্রামে বাস করতো। রিমন, সত্যের আলোকবর্তিকা, সততা মহৎ হৃদয়ের অধিকারী ছিলো।, অপর দিকে  রিহান  প্রতারণা এবং অসততার প্রলোভনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলো নিজেকে।

তারা দুজনে পরিকল্পনা করলো, ব্যবসা-বানিজ্যের মাধ্যমে নিজেদের উন্নতি সাধিত করবে । রিমন একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রাম্য চিকিৎস্যক ব্যবসা শুরু করলো।সে গ্রামের  মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে  লাগলো এবং ঔষধ বিক্রি করতে লাগলো। রিমন যেহেতু একজন সৎ চরিত্রবান লোক তাই সে  বিশ্বাস করতো যে অটল সততার দ্বারা পরিচালিত জীবন যাপনের মধ্যেই জ্ঞানার্জনের পথ যেমন নিহিত তেমনি জীবনে উন্নতি করাও সম্ভব। সে অসহায় অসুস্থ মানুষের সেবা করতো। তার কথাগুলো ছিল প্রশান্তির সুরের মতো যা শোনে মানুষের  আত্মাকে উজ্জীবিত করতো ।তার পরিবার গ্রামের লোকেরা তাকে তার সততার জন্য খুব  শ্রদ্ধা করতো ।গ্রামবাসিরা সকল কাজে তার সুপরামর্শ  এবং তার বিজ্ঞ নির্দেশনায় সান্ত্বনা খুঁজে পেতো।

 

রিমনের এধরনের ব্যবসাকে রিহান মোটেও সাধুবাদ জানায়নি। সে বললো,

: ধরনের ব্যবসার মাধ্যমে নিজেকে উন্নতি করতে অনেক সময় লাগবে।তাছাড়া সততার মাধ্যমে ব্যবসা করলে উন্নতি করা সম্ভব নয়

তাই সে {রিহান} একটি ফলের ব্যবসা দিলো এবং পাশা পাশি বড় একটি খাবর হোটেল চালাতে লাগলো। সে ব্যবসায়  লাভবান হতে লাগলো। এভাবে দিনের পর মাস আর মাসের পর কয়েক মাস হয়ে গেল। রিহানের ব্যবসা ভালো চলতে লাগলো এবং এলাকায় একটি ভালো ব্যবসা প্রতিষ্ঠনে রূপান্তরিত হলো

কিন্তু রিহান অবশ্য মিথ্যার মোহে জড়িয়ে পড়েছিলো। সে বিশ্বাস করতো যে মিথ্যা প্রতারণা ব্যক্তিগত লাভ অর্জনের এবং পার্থিব সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠার উপায়।  অন্যদের কারসাজি করার জন্য জটিল গল্প বুনতো এবং তাদের বিশ্বাসকে তার নিজের স্বার্থপর উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে একটি পদক্ষেপের পাথর হিসাবে ব্যবহার করতো।

তার ফলের ব্যবসার মধ্যে উচ্চ লাভের আশংকায় ফরমালিন বিভিন্ন প্রকার ক্যমিকেল ব্যবহার করতো।খাবার হোটেলে খাদ্যের মধ্যে ভেজালসহ নিম্মমানের খাবার পরিবেশন করতো যা খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তো।

এদিকে রিমন অসুস্থ মানৃষের সেবা প্রদান করতে লাগলো এবং অসুস্থতার কারণ জানতে চা্ইতো   রিমন জানতে পারলো যে রিহানের হোটেলর পচাঁ, বাসি খাবার পরিবেশন করতো। একদিন রিহানকে তার হোটেলের খাবরের মান সম্পর্কে কথা বললো

তার উত্তরে রিহান বললো ,

: বন্ধু,তুই আমার ব্যবসার আয় উন্নতি দেখে হিংসা করছিস। আসলে তোর সমস্যাটা কোথায়? আমার হোটেলের খাবার খেযে যদি মানুষের অসুস্থ হয় তাতে তোর আরো লাভ বেশি অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা করলে তো ইনকাম বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে তোর অসুস্থ মানুষ বেশি প্রয়োজন

 রিহানের ধরনের কথা শোনে রিমন অসন্তুষ্ঠ প্রকাশ করলো ।ফলে  রিমন আর রিহানের মধ্যে বৈপরীত্য সম্পর্ক  প্রকট হয়ে উঠল।

 রিমনের পুণ্যময় উপস্থিতি গ্রামবাসীদের হৃদয়কে আলোকিত করে, বিশ্বাস, ভালবাসা এবং সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলে। তাঁর সততা শুভাকাঙ্ক্ষার একটি সেতুবন্দন তৈরি করেছিল যা গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে তার সুনাম আলো ছড়িয়েছিল বহুদূরে।

অন্যদিকে, রিহানের প্রতারণামূলক উপায়গুলি তার সকল সম্পর্কের উপর একটি অন্ধকার ছায়া ফেলেছিল। গ্রামবাসীরা  একসময় তার ব্যবসার প্রভাব সৃষ্টি করলো মানুষেরা তার সকল  কৌশল কারসাজির ব্যাপারে সতর্ক হয়ে পড়ে। সবাই তাকে অসততার আবরণের মধ্য দিয়ে দেখেছিল।

রিমন সর্বদা সহানুভূতিশীল এবং বোধগম্য, তার বন্ধুকে প্রতারণার খপ্পরে পড়তে দেখতে সহ্য করতে পারেনি।সে রিহানকে বার বার সতর্ক করলো।

একদিন গ্রামবাসিরা থানায় অভিযোগ করলো সকালে পুলিশ প্রশাসন এসে হাজির হলো রিহানের  কাছে। তারা রিহানের ফলের দোকান হোটেলে চার্জ করলো। ফলে ফরমালিন দেওয়াএবং হোটেলে পচাঁ,বাসি ও নষ্ট খাবার পরিবেশন তরার কারণে পুলিশ রিহানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেলো।

রিমন যখন তার প্রজ্ঞা দিয়ে গ্রামবাসীদের অনুপ্রাণিত করতে থাকে, তখন রিহান নিজেকে বিচ্ছিন্ন এবং পরিত্যক্ত দেখতে পেলো। যে বন্ধুত্বগুলি তাকে একসময় মূল্যবান ছিলো তা তার মিথ্যার ভারে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল, তাকে একাকীত্বের নির্জন অবস্থায় ফেলেছিল। 

রিহান তার হৃদয়ের গভীরে অনুশোচনার দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণা বহন করে। সে মুক্তির জন্য ব্যকুল হয়ে তার অসততার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ খুঁজে রিমনের  যে বিশুদ্ধতা এবং প্রশান্তি ছিল তার জন্য তার আত্মা কষ্ট পেয়েছিল এবং সে যে বন্ধুত্ব হারিয়েছিল তা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল।

একসময় রিমন ক্ষমায় ভরা হৃদয় নিয়ে সে রিহানের কাছে গেলো, তাকে মুক্তির সুযোগ দিয়েছিলো। সে রূপান্তরের গল্প শেয়ার করতো, এমন ব্যক্তিদের গল্প বলতো যারা সত্যকে গ্রহণ করেছিলো এবং তাদের হারানো সততাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলো।

রিহান সততার পথে চলার জন্য একটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছিলো। সে তার বন্ধুত্বের ছিন্নভিন্ন টুকরোগুলিকে মেরামত করতে এবং যে বিশ্বাসটি সে নষ্ট করেছিলো তা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলো।রিহান এবং রিমন একসাথে, তারা আত্ম-আবিষ্কারের যাত্রা শুরু করেছিল, যে বিশুদ্ধতা এবং সম্প্রীতি তাদের একসময় আবদ্ধ করেছিল তা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেছিল।