cool
just one click $50
click here
income button
hellow button
$300
Saturday, September 20, 2025
Tuesday, April 29, 2025
Monday, April 21, 2025
Saturday, April 12, 2025
মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা

লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে পালিত হলো ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করা হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। তাঁর মোনাজাতের মাধ্যমে অল্প সময়ে সম্পন্ন হয় গণজমায়েত। অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক অতিথি উপস্থিত থাকলেও কেউই বক্তব্যের সুযোগ পাননি। লিখিত ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা সবার বক্তব্য বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মাহমুদুর রহমানের পাঠ করা ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামাটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম। আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী, যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।
আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা-যারা জুলুমের ইতিহাস জানি, প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করি-সমবেত হয়েছি গাজার মৃত্যুভয়হীন জনগণের পাশে দাঁড়াতে। আজকের এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি ইতিহাসের সামনে দেওয়া আমাদের জবাব, একটি অঙ্গীকার, একটি শপথ।
বিজ্ঞাপন
এই পদযাত্রা ও গণজমায়েত থেকে আজ আমরা চারটি স্তরে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করব-
আমাদের প্রথম দাবিগুলো জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি। যেহেতু-জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সকল জাতির অধিকার রক্ষার, দখলদারিত্ব ও গণহত্যা রোধের সংকল্প প্রকাশ করে; এবং-আমরা দেখেছি, গাযায় প্রতিদিন যে রক্তপাত, যে ধ্বংস চলছে, তা কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়-বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার ফল; এবং-এই ব্যর্থতা শুধু নীরবতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়-বরং পশ্চিমা শক্তিবলয়ের অনেক রাষ্ট্র সরাসরি দখলদার ইজরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে এই গণহত্যাকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে; এবং-এই বিশ্বব্যবস্থা দখলদার ইজরায়েলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বরং রক্ষা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে; সেহেতু আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
এবং-গাযা আমাদের জন্য এক আয়না-যেখানে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে বিশ্বাসী হওয়া মানে কেবল বেঁচে থাকা নয়, সংগ্রামে দৃঢ় থাকা; সেহেতু আমরা এই মাটির মানুষ, এই মুসলিম ভূখণ্ডের নাগরিক, এই কওমের সন্তান এবং সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহর সদস্য-একটি অঙ্গীকার করছি:
১। আমরা সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বয়কট করবো-প্রত্যেক সেই পণ্য, কোম্পানি ও শক্তিকে যারা ইজরায়েলের দখলদারিত্বকে টিকিয়ে রাখে;
২। আমরা আমাদের সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করবো-যারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সকল প্রতীক ও নিদর্শনকে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করবে, ইনশাআল্লাহ;
৩। আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলবো-যারা নিজেদের আদর্শ ও ভূখণ্ড রক্ষায় জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকবে;
৪। আমরা বিভাজিত হবো না-কারণ আমরা জানি, বিভক্ত জনগণকে দখল করতে দেরি হয় না।
আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, যাতে এই বাংলাদেশ কখনো কোনো হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের পরবর্তী গাজায় পরিণত না হয়।
আমরা শুরু করবো নিজেদের ঘর থেকে-ভাষা, ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজ-সবখানে এই অঙ্গীকারের ছাপ রেখে।
আমরা মনে রাখবো: গাযার শহীদরা কেবল আমাদের দোয়া চান না-তাঁরা আমাদের প্রস্তুতি চান।
শেষকথা:
শান্তি বর্ষিত হোক গাযার সম্মানিত অধিবাসীদের উপর-তাঁদের উপর, যাঁরা নজিরবিহীন সবর করেছেন, যাঁরা অবিচল ঈমানের প্রমাণ দিয়েছেন। যাঁরা ধ্বংসস্তূপের মাঝেও প্রতিরোধের আগুন জ্বেলেছেন।
বিশ্বের নীরবতা ও উদাসীনতার যন্ত্রণা হাসিমুখে বুকের মাঝে ধারণ করেছেন। শান্তি বর্ষিত হোক তাদের উপর, যাঁরা নাম রেখে গেছেন ইজ্জতের খতিয়ানে-
শান্তি বর্ষিত হোক হিন্দ রজব, রীম এবং ফাদি আবু সালেহ সহ সকল শহীদেরর উপর, যাঁদের রক্ত দ্বারা গাজার পবিত্রভূমি আরো পবিত্র হয়েছে, যাঁদের চোখে ছিল প্রতিরোধের অগ্নিশিখা।
শান্তি বর্ষিত হোক বাইতুল মাকদিসের গর্বিত অধিবাসীদের উপর, যাঁদের হৃদয়ে এখনো ধ্বনিত হয় 'আল-কুদস লানা', আল কুদস আমাদের!
গাজার জনগণকে অভিনন্দন-
আপনারা ঈমান, সবর আর কুরবানীর মহাকাব্য রচনা করেছেন। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন-ঈমান আর তাওয়াক্কুলের শক্তি আমরা, বাংলাদেশের মানুষ-শাহ জালাল আর শরীয়াতুল্লাহর ভূমি থেকে দাঁড়িয়ে, আপনাদের সালাম জানাই, আপনাদের শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই, আর আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় এই দো'আ-হে আল্লাহ, গাজার এই সাহসী জনপদকে তুমি সেই পাথর বানিয়ে দাও, যার উপর গিয়ে ভেঙে পড়বে জায়োনিস্টদের সব ষড়যন্ত্র।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ।
Wednesday, April 9, 2025
টগর গাছের চাষ পদ্ধতি
ছবিতে দেখা গাছটির নাম হলো টগর গাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Tabernaemontana divaricata)। এটি একটি চিরসবুজ ঝোপালো গাছ, যা প্রধানত তার সৌন্দর্য ও সুগন্ধযুক্ত সাদা ফুলের জন্য বাগানে লাগানো হয়।
টগর গাছের চাষ পদ্ধতি: ভিডিও ডাউনলোড
১. মাটি:
-
টগর গাছের জন্য ভালো জলনিষ্কাশনযুক্ত দোআঁশ মাটি উপযুক্ত।
-
pH ৫.৫ থেকে ৭.৫ হলে ভালো হয়।
২. আলো ও তাপমাত্রা:
-
পূর্ণ সূর্যালোক বা আংশিক ছায়া—দুই অবস্থাতেই ভালো জন্মে।
-
উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া পছন্দ করে।
৩. সেচ:
-
নিয়মিত পানি দিতে হয়, তবে অতিরিক্ত পানি যেন না জমে।
-
গরমকালে প্রতিদিন বা একদিন পরপর জল দেওয়া ভালো।
৪. সার প্রয়োগ:
-
জৈব সার (কম্পোস্ট বা গোবর সার) প্রতি মাসে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
-
ফুল আসার সময় ফসফরাসসমৃদ্ধ সার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৫. ছাঁটাই (Pruning):
-
আকৃতি বজায় রাখতে ও ঝোপালো রাখার জন্য নিয়মিত ছাঁটাই করা উচিত।
৬. রোগ ও পোকামাকড়:
-
শুঁয়োপোকা, মিলিবাগ বা স্কেল ইনসেক্ট হতে পারে; এদের দমন করতে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
টগর গাছ বাগানে শোভা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশও সুগন্ধময় করে তোলে। চাইলে আপনি এটি টবে করেও চাষ করতে পারেন।